জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ – ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক(সম্মান) ভর্তির ২য় রিলিজ স্লিপের আবেদন ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ – ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক(সম্মান) শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রমে ২য় ও সর্বশেষ রিলিজ স্লিপের অনলাইন আবেদন সম্পর্কিত জরুরি বিজ্ঞপ্তি। National University Application for 2nd Release Slip for 1st Year Graduation (Honors) Admission starts from 7th November.
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক(সম্মান) ভর্তি কার্যক্রমে ২য় রিলিজ স্লিপের অনলাইন আবেদন আগামী ১৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ বিকাল ৪ টা থেকে শুরু হয়ে ২৬ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত চলবে। উক্ত ভর্তি কার্যক্রমে যে সকল প্রার্থী ক) মেধা তালিকায় স্থান পায়নি খ) মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও ভর্তি হয়নি গ) মেধা তালিকায় ভর্তি হয়ে পরবর্তীতে ভর্তি বাতিল করেছে, সে সকল প্রার্থী ২য় রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে। বিস্তারিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট (www. nu.ac.bd/admissions) থেকে জানা যাবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও বিজ্ঞপ্তি সমূহঃ
- ২০১৮ সালের বিএড অনার্স প্রথম বর্ষ ২য় সেমিস্টার, দ্বিতীয় বর্ষ ৪র্থ সেমিস্টার, তৃতীয় বর্ষ ৬ষ্ঠ সেমিস্টার এবং চতুর্থ বর্ষ ৮ম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।
- ২০১৭ সালের এম.এসসি ইন-কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (MCSE) ১ম সেমিস্টার, ২০১৬ সালের এম.এসসি ইন-কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (MCSE) ২য় সেমিস্টার এবং ২০১৬ সালের এম.এসসি ইন-কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (MCSE) পরীক্ষার সমন্বিত ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।
- ২০১৯ সালের বি.পি.এড (পুরাতন সিলেবাস) পরীক্ষার ফরম পূরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।
- সিইডিপি-দশম ব্যাচে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্সে পাঠদানকারী কলেজ শিক্ষকদের সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইংরেজি ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণের নিমিত্তে TTIS-এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন নিশ্চিতকরণ প্রসঙ্গে।
- ২০১৯ সালের বি.এসসি অনার্স ইন-কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) চতুর্থ বর্ষ, ৭ম সেমিস্টার পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি।
- ২০১৭ সালের এমপি.এড ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ।
যুদ্ধাপরাধীদের নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কলেজের নাম থাকছে না।
মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী এবং যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৫টি কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে একটি কলেজের নাম ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে। আর বাকি চারটি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
যে কলেজটির নাম ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে সেটি হচ্ছে রাঙ্গামাটির রাবেতা মডেল কলেজ। এই কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে লংগডু মডেল কলেজ। বিশেষ সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছিল কলেজটি। আর যে চারটি কলেজের নাম পরিবর্তনের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- হবিগঞ্জের মাদবপুরের সৈয়দ সঈদউদ্দিন কলেজ, এটির পরিবর্তিত নাম মৌলানা আছাদ আলী ডিগ্রি কলেজ। কক্সবাজারের ঈদগাও ফরিদ আহমেদ কলেজ, পরিবর্তিত নাম ঈদগাও রশিদ আহমেদ কলেজ। টাঙ্গাইলের বাশাইল এমদাদ হামিদা কলেজ, পরিবর্তিত নাম বাশাইল ডিগ্রি কলেজ। গাইবান্ধার ধর্মপুর আব্দুল জব্বার কলেজ, পরিবর্তিত নাম ধর্মপুর ডিগ্রি কলেজ।
১ বছর আগে সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের নামে থাকা কলেজগুলো চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের নামে থাকা কলেজগুলোর নাম পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেয়া হয়। বলা হয়, কলেজগুলোতে যুদ্ধাপরাধীদের নাম চিহ্নিত করে তা পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা/বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে নামকরণ করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পাঁচটি কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়া আজ (বৃহস্পতিবার) মহামান্য হাইকোর্ট যুদ্ধাপরাধীদের নামে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নাম পরিবর্তনের যে রায় দিয়েছেন তাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সকল ডিসিপ্লেনে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ বইটি অবশ্যই পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।